রাজশাহী-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন সাবেক মন্ত্রী ও বিএনপি নেতা প্রয়াত কবীর হোসেনের ছেলে নাসির হোসেনের সমর্থকরা। বিক্ষোভের সময় সড়কের ওপর টায়ারে আগুন জ্বালাতে গিয়ে দগ্ধ হয়েছেন এক ছাত্রদল নেতা। গুরুতর অবস্থায় তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বিকালে নগরীর চৌদ্দপাই এলাকায় রাজশাহী-ঢাকা মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। দগ্ধ ছাত্রদল নেতার নাম শহিদুল ইসলাম। তিনি রাজশাহী জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
দলীয় ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বিক্ষোভের একপর্যায়ে টায়ারে আগুন জ্বালানোর সময় আচমকা আগুন শহিদুলের শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। মুহূর্তের মধ্যে আগুনে দগ্ধ হয়ে তিনি চিৎকার করতে করতে দৌড়াতে থাকেন। পরে সহকর্মীরা এগিয়ে এসে তার গায়ের জামা খুলে আগুন নেভান। প্রথমে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় মেডিক্যাল সেন্টারে নিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তাকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়েছে।
দলীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, শহিদুল ইসলাম বিএনপির সাবেক ভূমি প্রতিমন্ত্রী প্রয়াত কবির হোসেনের ছেলে নাসির হোসেনের সমর্থক। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৩ (পবা-মোহনপুর) আসনে নাসির হোসেনকে বিএনপি মনোনয়ন না দেওয়ায় বিক্ষোভে অংশ নেন তার অনুসারীরা। এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুর্নবাসন বিষয়ক সহসম্পাদক শফিকুল হক মিলন।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া যুবদল কর্মী সাইদুর রহমান বলেন, ‘নাসির হোসেন দীর্ঘদিন ধরে আসনটিতে দলের জন্য কাজ করছেন। অতীতের সব আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় ছিলেন। তাই যোগ্য ব্যক্তিকে বাদ দিয়ে অন্যকে মনোনয়ন দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন নেতাকর্মীরা। সেখানে শহিদুলের গায়ে আগুন লাগে।’
এর আগে রবিবার নগরীর অলোকার মোড়ে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে মশালমিছিল করেন নাসির হোসেনের সমর্থকরা।
মনোনয়নবঞ্চিত নাসির হোসেন বলেন, ‘আসনটিতে মনোনয়ন পেতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করেছি। দল মনোনয়ন না দেওয়ায় আমার সমর্থকরা বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় টায়ারে আগুন দিতে গিয়ে শহিদুলের শরীরে আগুন ধরে যায়। পরে তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। সে এখন সুস্থ আছে।’

















