কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ফরিদপুর জেলা ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফারুক হোসেনকে (৭২) আটক করেছে পুলিশ। সোমবার সন্ধ্যায় ফরিদপুর শহরের ঝিলটুলী এলাকা থেকে তাকে আটক করে কোতয়ালি থানা পুলিশ।
সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) শামছুল আজম। তিনি জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শহরের ঝিলটুলী এলাকার ডায়াবেটিক হাসপাতাল সংলগ্ন নিজ বাসা থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা যায়, ফারুক হোসেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদে ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক আমেরিকায় অবস্থান করছেন বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি ফারুক হোসেনকে জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয় বলে তিনি নিজেই ফেসবুকে জানান। গত ২৮ অক্টোবর শামীম হকও নিজের ফেসবুক আইডিতে একটি পোস্ট করেন। তাতে উল্লেখ করেন, ‘আমার নেত্রী যাকে দায়িত্ব দেবেন আমরা সবাই তার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবো। দলের এই দুর্দিনে সবাই আমরা সভাপতি, আমরা সবাই দলের জন্য কাজ করবো।’
তবে এই দায়িত্বের বিষয়ে দলীয় সূত্রে নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি।
কোতয়ালি থানা সূত্রে জানা যায়, ফারুক হোসেনের নামে কোতয়ালি থানায় বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দুটি মামলা রয়েছে। এর মধ্যে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।
এ ছাড়া গত বছরের ১৫ অক্টোবর কোতয়ালি থানায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় মামলাটি করেন শহরতলির মামুদপুর এলাকার মুজাহিদ ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। এতে শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদের, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ ইশতিয়াক আরিফ, সহ-সভাপতি ফারুক হোসেনসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১২৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করা হয়।
ওই মামলায় বাদী উল্লেখ করেন, গত ৪ আগস্ট বাদীর মেয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করলে হামলার ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ছুটে যান বাদীসহ কয়েকজন। সে সময় তার ওপরও হামলা চালানো হয়। এ সময় আসামিরা তাকে মৃত ভেবে ফেলে রেখে যায়।
এ বিষয়ে কোতয়ালি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল্লাহ বিশ্বাস বলেন, ‘সন্ধ্যায় ফারুক হোসেনকে আটক করা হয়। তার নামে থানায় দুটি মামলা রয়েছে এবং দুটি মামলায় গ্রেফতারের বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

















