মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার চরডুমুরিয়া বাজার এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের বিরোধের জেরে গুলিতে আহত আরও এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এ ঘটনায় দুই জনের মৃত্যু হলো।
নিহত যুবকের নাম রায়হান খান (২২)। তিনি উপজেলার চরডুমুরিয়া খানবাড়ির রুস্তম খানের ছেলে। এর আগে গতকাল সোমবার ভোরে বিএনপির এক পক্ষের হামলায় রায়হানের পাশাপাশি আরিফ মীর (৪০) ও ইমরান খান (২২) গুলিবিদ্ধ হন। ওই সময় ঘটনাস্থলেই আরিফের মৃত্যু হয়। আহত অবস্থায় রায়হান ও ইমরানকে রাজধানী ঢাকায় পাঠানো হয়।
রায়হানের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, রায়হান মুন্সীগঞ্জ থেকে গতকাল চিকিৎসা না নিয়ে সরাসরি ঢাকায় চলে যান। গতকাল হতাহতের ওই ঘটনায় আজ বিকাল পর্যন্ত কোনও মামলা বা অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোল্লাকান্দি ইউনিয়নে বিবদমান দুটি পক্ষের একটির নেতৃত্বে আছেন ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ওয়াহিদ রায়হান ও জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আতিক মল্লিক। অপর পক্ষের নেতৃত্বে আছেন সদর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক উজির আহমেদ ও ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আওলাদ হোসেন। আজ নিহত রায়হান উজির-আওলাদের পক্ষের সমর্থক ছিলেন।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ভোরে ওয়াহিদ রায়হান, আতিক মল্লিক ও রহিম মোল্লাদের সমর্থক আওয়ামী লীগ নেতা ইউসুফ, জাহাঙ্গীর, শাহ কামাল, শাহ আলম, শাকিল, হোসেন মিয়া ও জিন্নত মীরদের একটি দল দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে চরডুমুরিয়া এলাকায় অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান আরিফ। রায়হান ও ইমরান গুরুতর আহত হন।

















