Swadhin News Logo
বুধবার , ১২ নভেম্বর ২০২৫ | ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

এনআইডি জালিয়াতি, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রতিবেদক
Nirob
নভেম্বর ১২, ২০২৫ ১:৩০ অপরাহ্ণ
এনআইডি জালিয়াতি, নির্বাচন কর্মকর্তাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা

জাল জন্মনিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) তৈরির অভিযোগে তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বুধবার (১২ নভেম্বর) দুদকের সহকারী পরিচালক অংটি চৌধুরী চট্টগ্রাম দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ মামলাটি দায়ের করেন।

মামলার আসামিরা হলেন– চট্টগ্রাম নগরের দক্ষিণ হালিশহর জসিম কলোনির মৃত আজিজুর রহমানের ছেলে আব্দুল জলিল; সাবেক বন্দর থানা নির্বাচন অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলম এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর শুলকবহর ওয়ার্ডের সাবেক জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমার দে।

এজাহারে বলা হয়, আব্দুল জলিলের কোনও বৈধ বাংলাদেশি নাগরিকত্বের কাগজপত্র নেই। তার বাবা-মার নামেরও কোনও ভূমির রেকর্ড, জাতীয়তা সনদ বা মৃত্যুসনদ পাওয়া যায়নি। তবুও তিনি কৌশলে ২০১১ সালের ২২ জুলাই চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ৮ নম্বর ওয়ার্ড থেকে জাল জন্মনিবন্ধন করেন।

দুদক জানায়, জন্মনিবন্ধন তৈরিতে শুলকবহর ওয়ার্ডের তৎকালীন জন্মনিবন্ধন সহকারী পিন্টু কুমার দের সহযোগিতা পান আব্দুল জলিল। পরে ২০১৭ সালের ১৪ মে একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোরশেদ আলম এবং জন্মনিবন্ধন সহকারী অশোক কুমার দত্তের জাল সই ব্যবহার করে পুনরায় আরেকটি জাল সনদ তৈরি করা হয়।

পরবর্তী সময়ে আসামি আব্দুল জলিল ওই জাল জন্ম সনদ ব্যবহার করে চট্টগ্রাম বন্দর থানার নির্বাচন অফিসে গিয়ে তৎকালীন থানা নির্বাচন অফিসার মুহাম্মদ আশরাফুল আলমের সহায়তায় জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করেন। নির্বাচন কমিশন ফর্মে ৪৬টি ঘর পূরণ করতে হয়। তদন্তে দেখা যায়, তার এনআইডি রেজিস্ট্রেশন ফর্মের অধিকাংশ ঘর ফাঁকা ছিল, এবং জাতীয়তা সনদ, ভূমির কাগজ বা অন্য কোনও বৈধ নথি ছাড়াই তা সম্পন্ন করা হয়।

দুদকের ফরেনসিক পরীক্ষায় জন্ম সনদে থাকা সইগুলো জাল প্রমাণিত হয়েছে। এ ছাড়া চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের রেকর্ডে ওই নম্বরের জন্ম সনদের কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি।

অপরাধ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারায় এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ৫(২) ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে।

দুদক জানিয়েছে, তদন্তে অন্য কারও সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তা মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক