গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘গণভোট ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন আলাদাভাবে আয়োজনের কোনও বাস্তবতা এই মুহূর্তে নেই। নির্বাচনের আগে গণভোট সম্ভব নয়। কোনও কারণে যদি নির্বাচন পিছিয়ে যায় তাহলে দেশ বড় ধরনের বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। আমরা চাই যেকোনও মূল্যে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক।’
বুধবার (১২ নভেম্বর) বিকালে হবিগঞ্জ পৌরসভা মাঠে গণঅধিকার পরিষদের নির্বাচনি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
নুর বলেন, ‘বর্তমান সময়ে কারও সঙ্গে জোট করা বা একীভূত হওয়ার সুযোগ নেই। তবে ইতোমধ্যে অনেক রাজনৈতিক দল আমাদের সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে। নির্বাচন খুবই সন্নিকটে, কাজেই এই মুহূর্তে কারও সঙ্গে জোট করার সুযোগ নেই। আমরা নির্বাচনি প্রচারণা করছি। অনেক দল থেকে প্রার্থীরা আমাদের সঙ্গে আসতে চায়। এনসিপি থেকেও কিছু নেতৃবৃন্দ আমাদের সঙ্গে আসবে। এ ছাড়া জুলাই সনদ নিয়ে কোনও জটিলতা নেই। আওয়ামী লীগের যারা জুলাই আন্দোলনের বিরুদ্ধে ছিলেন না বা ছাত্র-জনতার ওপর হামলা-মামলায় জড়িত ছিলেন না, তারা চাইলে বিভিন্ন দলে যোগ দিতে পারবেন।’
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আরও বলেন, ‘দেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। সেই পরিবর্তনে নেতৃত্ব দিতেই তারা নির্বাচনমুখী রাজনীতিতে অংশ নিচ্ছেন। জনগণের ভোটাধিকার নিশ্চিত করাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য।’
জেলা গণঅধিকার পরিষদের সহসভাপতি সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলামের পরিচালনায় সমাবেশে প্রধান বক্তা ছিলেন হবিগঞ্জ গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও হবিগঞ্জ-৩ আসনে দলের প্রার্থী আশরাফুল বারী চৌধুরী নোমান। সমাবেশে কেন্দ্রীয় ও জেলা গণঅধিকার পরিষদের নেতারা বক্তব্য দেন।

















