ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ফখরউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুর মনোনয়ন বাতিলের দাবিতে মশালমিছিল ও বিক্ষোভ করেছেন উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় উপজেলার ১০নং হবিরবাড়ি ইউনিয়নে এ বিক্ষোভ ও মশালমিছিল করা হয়। এ সময় দলীয় প্রার্থীকে চাঁদাবাজ উল্লেখ করে বিভিন্ন ধরনের স্লোগান দিয়ে মনোনয়ন বাতিলের দাবি জানান তারা।
মিছিলের আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কর্তৃক ঘোষিত ‘রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা’ তৃণমূলের জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে ওউ ইউনিয়নে গণসমাবেশ করা হয়। এতে হাজারো নেতাকর্মী অংশ নেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ভালুকা উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. শহিদুল ইসলাম। প্রধান অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহ দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ও ভালুকা উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মুহাম্মদ মোর্শেদ আলম। এই আসনে দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন মোর্শেদ আলম।
সমাবেশ শেষে উপজেলা বিএনপির একাংশের নেতাকর্মীরা বিশাল মিছিল বের করেন। মোর্শেদ আলমের পক্ষে স্লোগানে স্লোগানে মিছিলটি ওই ইউনিয়নের সিডস্টোর বাজার প্রদক্ষিণ করে। এ সময় কর্মী-সমর্থকরা স্লোগান দেন, ‘চাঁদাবাজকে মনোনয়ন, মানি না মানবো না; চাঁদাবাজের মনোনয়ন, বাতিল করো করতে হবে।’
বিক্ষোভকারী নেতাকর্মী জানান, মাঠের ত্যাগী নেতা মোর্শেদ আলমকে বাদ দিয়ে ১৭ বছর সংগঠনে সক্রিয় না থাকা ফখরউদ্দিন আহমেদ বাচ্চুকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন দল ও নেতাকর্মীদের পাশে থাকা মোর্শেদ আলমকে উপেক্ষা করায় তৃণমূল নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। এজন্য প্রতিবাদ জানিয়ে মিছিল করেছেন তারা। ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে বাচ্চুর পরিবর্তে মোর্শেদ আলমকে মনোনয়ন দিতে হবে, না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
প্রসঙ্গত, জমি দখল ও চাঁদাবাজির মামলায় দীর্ঘদিন দল থেকে বহিষ্কার ছিলেন ফখরুদ্দিন আহমেদ বাচ্চু। সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে বড় অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে মামলার চূড়ান্ত তদন্ত প্রতিবেদন থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করিয়েছেন। সেই সুবাদে দল থেকে পাওয়া বহিষ্কার আদেশও প্রত্যাহার করা হয়। দল থেকে এভাবে বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের বিষয়টি নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের মাঝে বিরূপ মনোভাব সৃষ্টি হয়। সবশেষ গত ৩ নভেম্বর জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ঘোষিত প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকায় স্থান পেয়েছেন তিনি।
















