চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অভিযানে তিন জনকে অস্ত্র, কার্তুজসহ গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার (১৬ নভেম্বর) রাতে এবং সোমবার সকালে জেলা গোয়েন্দা শাখা, রাউজান থানা ও হাটহাজারী মডেল থানার যৌথ অভিযানে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার তিন জনের মধ্যে জেলার রাঙ্গুনিয়া থেকে হুমায়ুন উদ্দিন ওরফে লেদাইয়া, রাউজান থেকে শাহ আলম এবং হাটহাজারী থেকে মো. হানিফ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকালে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়, সোমবার (১৬ নভেম্বর) দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানাধীন পদুয়া ইউনিয়নের মৌলভীখীল তিন রাস্তার মোড়ে জেলা গোয়েন্দা শাখা ও দক্ষিণ রাঙ্গুনিয়া থানা যৌথভাবে চেকপোস্ট স্থাপন করে। এ সময় হুমায়ুন উদ্দিন ওরফে লেদাইয়া নামের এক অস্ত্রধারীকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী রাউজান থানাধীন মাহবুবুল আলম নামের এক ব্যক্তির ঘরের পাশের ঝোপ থেকে ১টি এলজি এবং ২ রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
অপরদিকে, আজ সোমবার ভোরে রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়ার নেতৃত্বে উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পলোয়ান পাড়ার ২ নম্বর রোডে হত্যা, ডাকাতি ও অস্ত্র মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি এবং সন্ত্রাসী শাহ আলমকে গ্রেফতারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানের এক পর্যায়ে দৌড়ে পালাতে গিয়ে শাহ আলম হাতে থাকা একটি বিদেশি পিস্তল বাড়ির পাশের আলী কন্ট্রাক্টরের পুকুরে ফেলে দেন। ধাওয়া করে তাকে গ্রেফতারের পর তার বসতঘর তল্লাশি করে দেশে তৈরি ৪টি এলজি, ২টি কার্তুজ, ১টি কার্তুজের খোসা ও ১টি গুলির খোসা পাওয়া যায়। পরে জেলা গোয়েন্দা শাখার সহযোগিতায় শাহ আলমের পুকুরে ফেলে দেওয়া বিদেশি পিস্তল, ম্যাগাজিন ও ৫ রাউন্ড গুলি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজি ও অপহরণসহ মোট ৯টি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া হত্যা, ডাকাতি ও অপহরণ মামলায় তার বিরুদ্ধে ৪টিতে গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে। গ্রেফতার শাহ আলম চাঞ্চল্যকর হাকিম হত্যা মামলার অন্যতম প্রধান আসামি।
এ ছাড়াও হাটহাজারী মডেল থানার এসআই রুপন নাথের নেতৃত্বে ফতেহপুর ইউনিয়নের শয্যাপাড়া এলাকা থেকে যুবলীগকর্মী মো. হানিফকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তার মোবাইল ফোন পর্যালোচনায় বিভিন্ন ককটেল বিস্ফোরণ ও টায়ার জ্বালিয়ে ত্রাস সৃষ্টির একাধিক ভিডিও পাওয়া গেছে। জিজ্ঞাসাবাদে হানিফ বর্তমান পরিস্থিতিতে গ্রামীণ ব্যাংকসহ বিভিন্ন স্থানে নাশকতা পরিকল্পনার কথা স্বীকার করে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তার বিরুদ্ধে ১৬টি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে।
















