আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডের রায় ঘোষণার পরপরই রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থীরা আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছেন।
মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য দেন শহীদ আবু সাঈদের সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া সুমন ও রহমত আলী। তারা বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল যে ৫টি অপরাধে শেখ হাসিনা ও তার সহযোগী সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন, তার অন্যতম অভিযোগ ছিল বেরোবির শিক্ষার্থী আবু সাইদকে গুলি করে হত্যা।
‘এ রায়ের মধ্য দিয়ে শহীদ আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার নির্দেশদাতা শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের ফাঁসির আদেশ হওয়ায় বেরোবির শিক্ষার্থীরা আনন্দিত। ভারতে পালিয়ে থাকা শেখ হাসিনা ও কামালকে দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত রায় কার্যকর করা হোক।’
রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শওকত আলী বলেন, ‘জুলাই আন্দোলনের প্রথম শহীদ বেরোবি শিক্ষার্থী শহীদ আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় আন্দোলন বেগবান হয়েছে। ৫ আগস্ট আমরা দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছি। এ রায় ঘোষণার মাধ্যমে শিক্ষার্থীসহ দেশবাসী ন্যায়বিচার পেলো কিন্তু রায় কার্যকর করতে হলে আসামিদের দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। এটা এখন শিক্ষার্থীদের দাবি।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই রায়ের মধ্য দিয়ে শহীদ আবু সাঈদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে বলে আমরা মনে করি।’
এদিকে রায় ঘোষণার পর রংপুর নগরীতে এবং রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে মিষ্টি বিতরণ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঘিরে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দুটি অভিযোগে ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে একটি অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একই অপরাধের মামলায় রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের সর্বোচ্চ সাজা কমিয়ে ৫ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ রায় ঘোষণা করেন। ২ ঘণ্টা ১০ মিনিটের সংক্ষিপ্ত রায় পড়া শেষে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে এ রায় ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল।
















