জুলাই আন্দোলনকে ঘিরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আওয়ামী লীগের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে চট্টগ্রামে শোকরানা সিজদা, আনন্দ মিছিল ও মিষ্টি বিতরণ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র-জনতা।
রায় ঘোষণার পরপরই সোমবার (১৭ নভেম্বর) বিকালে নগরীর দুই নম্বর গেটে আনন্দ উল্লাস ও মিষ্টি বিতরণ করেন ছাত্রজনতা ও এনসিপি নেতাকর্মীরা। এ সময় তারা দুই নম্বর গেট বিপ্লব উদ্যানে শোকরানা সিজদা আদায় করেন। এতে এনসিপির লোকজনসহ বিপুলসংখ্যক ছাত্র-জনতা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় এনসিপি নেতৃবৃন্দ রায় ঘোষণায় আনন্দ উল্লাস প্রকাশের পাশাপাশি ভারতে থাকা শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে ফিরিয়ে এনে দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানান।
দুই নম্বর গেট বিপ্লব উদ্যানে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভায় শেখ হাসিনাসহ দণ্ডিত সব আসামির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে এবং গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবি জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগর আহ্বায়ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টি-এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী আরিফ মঈনুদ্দিন।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন– এনসিপির যুগ্ম সমন্বয়কারী মীর শোয়াইব, রাফসান জানি, সদস্য আশিক, মোহাম্মদ এমদাদুল হকসহ জাতীয় নাগরিক পার্টি ও জাতীয় যুবশক্তির নেতাকর্মী এবং ছাত্রজনতা।
এর আগে দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
এ ছাড়া মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় আসামি থেকে রাজসাক্ষী বনে যাওয়া পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
















