নোয়াখালী–২ (সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে মশালমিছিল ও সমাবেশ করেছেন মনোনয়নবঞ্চিত বিএনপি নেতা কাজী মফিজুর রহমানের সমর্থকরা। সোমবার (১৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে সেনবাগ উপজেলা সদরে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচি ঘিরে এলাকায় কিছুটা উত্তেজনা তৈরি হলেও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে জানা গেছে, সন্ধ্যায় উপজেলা পরিষদ এলাকার একটি কার্যালয় থেকে উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে মশাল মিছিলটি বের হয়। মিছিলটি উপজেলা গেট, হাইস্কুল গেট, প্রেসক্লাব, থানা মোড়সহ শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে দক্ষিণ বাজারে যায়। পরে থানা মোড়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তারা দলীয় প্রার্থী ঘোষণার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের দাবি জানান। দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচির হুঁশিয়ারি দেন তারা।
সমর্থকদের মশাল মিছিলের বিষয়টি শুনেছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপি নেতা কাজী মফিজুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমি ঢাকায় আছি। প্রার্থী ঘোষণার পর থেকেই আমার অনুসারীসহ সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ জানাচ্ছে। তারা নানা কর্মসূচি করছে।’
তিনি দাবি করেন, বিগত সরকারের সময়ে তার বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা হয়, তিনি কারাভোগও করেছেন। গত ১৬ বছর তিনি নেতাকর্মী ও তাদের পরিবারের পাশে ছিলেন। তাই তাকে মনোনয়ন না দেওয়ায় স্থানীয়ভাবে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, সেনবাগ বিএনপির রাজনীতিতে কাজী মফিজুর রহমান ও জয়নুল আবদিন ফারুকের দ্বন্দ্ব দুই দশকের বেশি সময় ধরে। ক্ষমতায় থাকার সময়ে কাজী মফিজ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন এবং এক যুগ আগে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। আগামী জাতীয় নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। গত ৩ নভেম্বর ঘোষিত তালিকায় নোয়াখালী–২ আসনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে জয়নুল আবদিন ফারুকের নাম রাখা হয়েছে। তিনি এর আগে পাঁচবার এই আসন থেকে বিএনপির সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
এদিকে সোমবার দুপুরে নির্বাচনি এলাকায় বিশাল মোটর শোভাযাত্রা করেন দলীয় মনোনয়ন পাওয়া প্রার্থী, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক। প্রায় এক হাজার মোটরসাইকেল এতে অংশ নেয়। শোভাযাত্রা ইয়ারপুরের এমপি ভিলা থেকে শুরু হয়ে সেনবাগ, গাজীরহাটের মোড়, কানকিরহাট, ছাতারপাইয়া, দিঘিরজান হয়ে ছমির মুন্সিরহাটে গিয়ে শেষ হয়।
শোভাযাত্রার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, ‘গণভোট, পিআর এসব কথা বলে বিভ্রান্তি না ছড়িয়ে ভোটের মাঠে নামুন। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জনপ্রিয়তার পরীক্ষা দিন।’

















