বগুড়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের দুটি শাখায় আগুন দেওয়ার পর এবার ককটেল রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ধুনট উপজেলার পীরহাটি গ্রামে মথুরাপুর শাখার প্রধান ফটক থেকে তিনটি তাজা ককটেল উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ ককটেলগুলো উদ্ধারের পর পানিভর্তি বালতিতে রেখেছে। ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম এ তথ্য দিয়েছেন।
ব্যাংকের মথুরাপুর শাখা ব্যবস্থাপক রঞ্জন দত্ত জানান, বগুড়ার ধুনট উপজেলার পীরহাটি গ্রামে মথুরাপুর-চান্দাইকোনা সড়কের পাশের গ্রামীণ ব্যাংকের মথুরাপুর শাখা। মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বোরকা পরিহিত দু’জন নারী ব্যাংকের সামনে ঘোরাফেরা করেন। এ সময় তিনি ও অন্যরা ব্যাংকের কাজে ব্যস্ত ছিলেন। কিছুক্ষণ পর ব্যাংকের প্রধান ফটকে একটি ব্যাগ ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। সন্দেহ হলে ব্যাগ খুলে ভেতরে লাল টেপ দিয়ে মোড়ানো তিনটি তাজা ককটেল পাওয়া যায়। ব্যবস্থাপকের ধারণা, গ্রাহকের ছদ্মবেশে আসা অজ্ঞাত নারীরা ব্যাগের ভেতরে ককটেল রেখে গেছেন। পরে বিষয়টি ধুনট থানার কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়।
তিনি আরও জানান, ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে এ ব্যাপারে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মঙ্গলবার বিকালে ধুনট থানার ওসি সাইদুল আলম বলেন, ‘এ ব্যাপারে ব্যাংকের পক্ষে কোনও অভিযোগ দেওয়া হয়নি। জিডি মূলে ককটেলসদৃশ বস্তুগুলো হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আদালতের নির্দেশ পেলে নিষ্ক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। ককটেল রাখার আগে সেখানে দু’জন নারী দাঁড়িয়ে ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, তারা ককটেলগুলো রেখে গেছেন।’
এদিকে, রবিবার রাত ৩টার দিকে দুর্বৃত্তরা গ্রামীণ ব্যাংক বগুড়ার ধুনট শাখায় পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করে। এতে ব্যাংকের প্রধান গেটের ভেতরে থাকা একটি ব্যানার, একটি চেয়ার ও একটি বেঞ্চ পুড়ে যায়। আগুন দেওয়ার পরপরই দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের কাউকে শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
এর আগে শনিবার গভীর রাতে বগুড়ার শেরপুরের গাড়িদহ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা অফিসের বাইরের গেটে নেমপ্লেটে পেট্রোল ঢেলে আগুন দেওয়া হয়েছে। রাতের এ ঘটনায় সাইনবোর্ডে সামান্য কালো দাগ হলেও কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। দুই দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলে এসে আগুন ধরিয়ে দেয়। কিন্তু কুয়াশার কারণে তাদের চেহারা বোঝা যায়নি।
















