বগুড়ার নন্দীগ্রামে মোরশেদা খাতুন (৪৪) নামে এক গৃহবধূকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। শনিবার (২৯ নভেম্বর) বিকালে উপজেলার থালতা মাঝগ্রাম ইউনিয়নের বাঁশো নওদাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামী তায়েজ উদ্দিনকে (৫০) আটক করেছে পুলিশ। সেইসঙ্গে হত্যায় ব্যবহৃত কুড়ালটি উদ্ধার করা হয়।
আটক তায়েজ উদ্দিন মাঝগ্রাম ইউনিয়নের বাঁশো নওদাপাড়া গ্রামের মৃত কছির উদ্দিনের ছেলে। ওই ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান শামছুর রহমান বলেন, ‘তায়েজ মানসিক রোগী। নিজের স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যার পর ঘরেই অবস্থান করছিলেন। খবর দিলে পুলিশ গিয়ে তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তায়েজ কৃষিকাজ করেন। কিছুদিন ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন। শনিবার বিকাল পৌনে ৩টার দিকে স্ত্রী মোরশেদা গোসলের পর বাথরুম থেকে বের হন। হঠাৎ ক্ষিপ্ত হয়ে কুড়াল দিয়ে স্ত্রীর মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কোপ দেন। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয়। এরপর তায়েজ ঘরে লুকিয়ে থাকেন। খবর পেয়ে লাশ ও হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল উদ্ধার করে পুলিশ। পরে তায়েজকে আটক করা হয়।
নন্দীগ্রামের কুমিড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এসআই মহিউদ্দিন বলেন, ‘হত্যার কারণ নিশ্চিত হওয়া যায়নি। লাশ উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত কুড়াল উদ্ধার ও নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে।’

















