কক্সবাজার টেকনাফ বাহারছড়া দক্ষিণ শিলখালী বিজিবি চেকপোস্টের পূর্ব পাশে পাহাড়ের কাছের খেলা করার সময় শিশুসহ ৬ জনকে অপহরণ করা হয়। এরপর তাদের হাত থেকে দুজন শিশু কৌশলে পালিয়ে এসেছে। এখনও ৪ জন তাদের কাছে জিম্মি অবস্থায় আছেন।
রবিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে বলে জানান, স্থানীয় ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হাফেজ আহমদ।
অপহৃত শিশুরা হল—একই এলাকার অছিউর রহমানের ছেলে মো. মামুন (১৭), আবুল কাশেমের ছেলে আনোয়ার হোসেন (১৪), মো. ইসলামের ছেলে গিয়াস উদ্দিন (১৫) ও মো. হাসানের ছেলে আবু বক্কর ছিদ্দিক (১৩)।
ঘটনায় পালিয়ে আসা দুই শিশু হল—একই এলাকার মো. আব্দুল্লাহর ছেলে ইসমাইল (১৭) ও আয়ুব আলীর ছেলে মো. শাহীন (১৩)।
স্থানীয়দের বরাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য হাফেজ আহমদ বলেন, সন্ধ্যায় বাহারছড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ শিলখালী পূর্ব পাড়ায় কয়েকজন শিশু মিলে খেলাধুলা করছিল। এক পর্যায়ে পাহাড় থেকে নেমে আসা দুর্বৃত্তদের একটি দল অস্ত্রের মুখে তাদের জিম্মি করে। এসময় ৬ শিশুকে জিম্মি করে পাহাড়ের গহিন এলাকায় নিয়ে যায়। পরে দুর্বৃত্তদের কাছ থেকে ২ জন কৌশলে পালিয়ে আসে। অন্যরা এখনও জিম্মি রয়েছে।
স্থানীয় এ ইউপি সদস্য বলেন, ঘটনাটি শোনার পরপরই পুলিশকে অবহিত করা হয়েছে। তিনিসহ স্থানীয়রা মিলে অপহৃত শিশুদের উদ্ধারে পাহাড়ে সন্ধান তৎপরতা অব্যাহত রেখেছেন।
তবে কী কারণে এসব শিশুদের অপহরণ করা হয়েছে—তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রতিবারের মতো মুক্তিপণ আদায়ে এই অপহরণের ঘটনা হয়েছে বলে ধারণা করছেন হাফেজ আহমদ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক দুর্জয় বিশ্বাস বলেন, খবরটি শোনার পরপরই পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ কোনও ধরনের অভিযোগ পুলিশকে দেয়নি।
তারপরও ঘটনার ব্যাপারে পুলিশ তথ্য সংগ্রহ করার পাশাপাশি অপহৃতদের উদ্ধারে পুলিশ কাজ করছে বলে জানান তিনি।
কক্সবাজার জেলা পুলিশ ও ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের তথ্য বলছে, গত ১ বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৬৪ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। আর ভুক্তভোগীদের দাবি তাদের অধিকাংশই মুক্তিপণের বিনিময়ে ফিরে এসেছে।













