জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা চেয়ারের পরিবর্তন চাইনি, চেয়েছি সিস্টেমের পরিবর্তন। কিন্তু পুরাতন বন্দোবস্তের মাধ্যমে যারা ক্ষমতায় আসতে চায় তাদের সেই ইচ্ছা পূরণ হবে না। তারা যদি এখনও সংস্কারের পথে না আসে তাহলে ক্ষমতায় আসার পথ বন্ধ হবে। শনিবার রাতে বাগেরহাটের রেলরোডে পথসভায় তিনি একথা বলেন।
তিনি বলেন, চাঁদাবাজদের এই দেশে ঠাই দেয়া হবে না। তাদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য কেন্দ্রীয় নেতাদের সবসময় পাশে থাকবে।
বিগত সময়ে বাগেরহাটের কোনও উন্নয়ন হয়নি উল্লেখ করে নাহিদ বলেন, এক সময় বাগেরহাট ছিল বিশ্বের মধ্যে সেরা খলিফাতাবাদ। আজ সেটার করুণ দশার জন্য বিগত সরকারের লুটপাট দায়ী।
এনসিপির সদস্য সচিব আখতার হোসেন বলেন, আইয়ামে জাহিলিয়াতের মতো মানুষ হত্যা করার জন্য জুলাই আন্দোলন হয়নি। আবরার ফাহাদ ও বিশ্বজিতের খুনিদের মতো সোহাগের খুনিদেরও এই দেশে স্থান হবে না। যারা শেখ হাসিনার মতো একটি নির্বাচন দিয়ে ক্ষমতায় বসতে চায়, আমরা তা হতে দেবো না।
এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন— উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, মুখ্য সমন্বয়কারী নাসীরউদ্দীন পাটোয়ারী, ডা. তাসনিম জারা প্রমুখ।
এ সময় দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ, ডা. তাসনুবা জাবিন, মেসবাহ কামাল, ডা. মনিরুজ্জামান, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্থা শারমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক নুসরাত তাবাসসুম, প্রধান সমন্বয়কারী সৈয়াদ মোরশেদ আনোয়ার, যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. শফিউল্লাহ, আবিদ আহমেদ, জেলা সদস্য লাবীব আহমেদ, আল আমিন খান সুমন, অ্যাডভোকেট আল আমিন, অ্যাডভোকেট জান্নাতুল বাকিসহ জেলা বিভিন্ন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে, রামপাল উপজেলার ফয়লাহাটে এলাকায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতারা বক্তব্য দেন। পরে ঐতিহাসিক ষাটগম্বুজ মসজিদে মাগরিবের নামাজ আদায় করেন তারা। পরে রেলরোডে পথসভায় যোগ দেওয়ার আগে তারা ভিআইপি মোড় থেকে হেঁটে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন। রাত সাড়ে ৯টার দিকে পথসভা শেষে তারা পিরোজপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হন।