বঙ্গোপসাগর থেকে ৬৫ মণ ইলিশ মাছ নিয়ে পটুয়াখালীর আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এসেছে একটি মাছ ধরা ট্রলার। রবিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে এসব মাছ আলীপুরে মেসার্স খান ফিশ নামে একটি আড়তে আনা হয়। সেখানে নিলামের মাধ্যমে ওই মাছ বিক্রি হয় ৩৯ লাখ ৬০ হাজার ১৪০ টাকায়। মাছগুলো কুয়াকাটা থেকে পূর্ব-দক্ষিণ দিকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে ধরা পড়ে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এফবি সাদিয়া-২ নামে মাছ ধরা ট্রলারটি গত বৃহস্পতিবার আলীপুর ঘাট থেকে ২৩ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। পরশু ও গতকাল সমুদ্রের বিভিন্ন এলাকায় জাল ফেলে কাঙ্ক্ষিত মাছগুলো ধরা পড়েছে।
ট্রলারের মাঝি শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর সমুদ্রে জাল ফেলে মাছগুলো পেয়েছি। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞার পরে দফায় দফায় বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়েছি। এই প্রথম ভালো পরিমাণে মাছ পেয়েছি, আলহামদুলিল্লাহ।’
খান ফিশের ম্যানেজার সাগর ইসলাম বলেন, ‘অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছে। বৈরী আবহাওয়ায় জেলেরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। এই মাছ বিক্রি করে আগের লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন জেলেরা। ৫৮ দিন অবরোধের পর ইলিশ আকাল চলছিল। আজ থেকে বেশ ইলিশ ধরা পড়ছে।’ আগামী কয়েক দিনের মধ্যে মৎস্য বন্দরগুলো ইলিশে ভরে উঠবে বলে আশা করেন তিনি।
এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, ‘দীর্ঘদিন নিষেধাজ্ঞা ও বৈরী আবহাওয়ায় জেলেরা লোকসানে জর্জরিত হয়েছেন। কয়েকদিন ধরে ভালো পরিমাণ মাছ পেয়েছেন তারা। এটা নিষেধাজ্ঞার সুফলও বলা যায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সামনে বেশ ভালো পরিমাণ মাছ পাবে বলে আশা করা যায়।’