‘আওয়ামী লীগ (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) সব সময় প্রতিহিংসার রাজনীতি করেছে। আওয়ামী লীগকে আমরা লগি-বইঠা থেকে দেখেছি, আওয়ামী লীগকে আমরা পিলখানা হত্যাকাণ্ড করতে দেখেছি, আমরা আলেমদেরকে পাখির মতো গুলি করতে দেখেছি, ক্ষমতায় টিকে থাকতে মানুষদেরকে পাখির মতো গুলি করে মেরেছে এই আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই দায়িত্ব তরুণ প্রজন্মকে নিতে হবে। আমাদের রাজনৈতিক দল গঠন করার কোনও প্রয়োজন ছিল না, কিন্তু আমরা বাধ্য হয়েছি।’
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) বিকালে রাজবাড়ী শহরের রেলগেট এলাকায় শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ‘দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রা’র পথসভায় দলটির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল (বুধবার) ঠিক এই সময় একটা দল গত ১১ মাস যে গর্তে ছিল, তারা অপেক্ষা করতে ছিল কখন আমরা মারা যাই। কিন্তু আমরা বেঁচে আছি। তারা মনে করেছিল নাহিদ, সারজিস, হাসনাত, আখতার, তাসনিম একটা নাম, তারা মনে করেছিল এদেরকে হত্যা করলে নাকি নতুন বাংলাদেশের যে লড়াই সেটা হয়তো থেমে যাবে। আমাদের মৃত্যুর পর প্রত্যেকটি মানুষ প্রত্যেকটা বিপ্লবী সন্তান নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখে তারা কেউ না কেউ নাহিদ হয়ে উঠবে। আমাদের বাংলাদেশ সেই মুহূর্ত থেকেই ঘুরে দাঁড়াবে। আমি রাজবাড়ীতে দাঁড়িয়ে ছোট মুখে বড় কথা বলে যাচ্ছি, বাংলাদেশ সেদিন থেকেই ঘুরে দাঁড়াবে, যেদিন বাংলাদেশ থেকে আওয়ামী লীগ নির্মূল হবে। আমরা মুজিবের মাটিতে দাঁড়িয়ে স্লোগান দিয়েছি, মুজিববাদ মুর্দাবাদ। আমাদের আগে রাজনীতি ঠিক করতে হবে। গত ১১ মাস ধরে আমরা যে মিডিয়ার বিরুদ্ধে ফাইট করে যাচ্ছি, তারা বলছে নাকি আওয়ামী লীগকে আরেকবার সুযোগ দেওয়া উচিত, আওয়ামী লীগ কী হয়ে ফেরত আসবে তার একটা টেস্ট ম্যাচ গতকাল হয়েছে।’
পথসভায় এনসিপির উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলমের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহসহ অন্যরা।
এ সময় এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমিন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইয়েদ জামিলসহ বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

















