জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা আপনাদের সহযোদ্ধা। আমরা যদি কোনও ভুল করি তাহলে সেই ভুল সংশোধনের মানসিকতা আমাদের সবসময় আছে। কিছু দিন আগে আমারও বান্দরবান নিয়ে অনিচ্ছাকৃত কথা বলেছিলাম। পরোক্ষণে আমার মনে হয়েছিল এই কথাটি আমার বলা উচিত হয়নি। আমি এই বিষয়ে আপনাদের সামনে দুঃখপ্রকাশ করতে চাই।’
রবিবার (২০ জুলাই) রাঙামাটিতে পদযাত্রা শেষে অনুষ্ঠিত সমাবেশে এ সব কথা বলেন তিনি। দুপুরে ১টায় রাঙামাটি পৌঁছে শিল্পকলা একাডেমি থেকে পদযাত্রা শুরু
করে বনরূপা চত্বরে গিয়ে শেষ হয়।
সারজিস আলম বলেন, ‘রাষ্ট্রকাঠোমা ও আমলাতন্ত্রে কেউ আপরাধ করলে তাকেই উত্তরবঙ্গে না হয় পার্বত্য এলাকায় বদলি করা হয়। এই সব অঞ্চলের মানুষ তো ভিন্ন না, তাহলে কেন ওই সব দুর্নীতিবাজদের পানিশমেন্ট (শাস্তি) পোস্টিং দেওয়া হয়। পানিশমেন্ট পোস্টিংয়ের মাধ্যমে কোনও একজন অসৎ অফিসারের সাজা হতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা যদি কোনও ভুল করি, তাহলে সেই ভুল সংশোধন করে নেবো। রাজনীতিতে কথার সঙ্গে কথার লড়াই হতে পারে। তবে কথার প্রতিবাদে মঞ্চে আগুন দেওয়া, ব্যানার ছিঁড়ে ফেলা রাজনৈতিক চরিত্র হতে পারে না। এটি ফ্যাসিবাদী চরিত্র। প্রবীণ রাজনীতিবিদরা কথায় কথায় আমাদের সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার বলে, তাদের কাছ থেকে আমাদের শেখার কিছুই নেই। আগামীর বাংলাদেশে আমরা সম্প্রতির রাজনীতি চাই।’
উল্লেখ্য, গত ৩ জুলাই পঞ্চগড়ে অনুষ্ঠিত ‘জুলাই পদযাত্রা’ চলাকালে এক বক্তব্যে সারজিস আলম বান্দরবানকে ‘শাস্তিস্বরূপ চাঁদাবাজ ও দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের পাঠানোর জায়গা’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এই বক্তব্যের পর পার্বত্য অঞ্চলের অনেকেই প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন।
সেখানে অনুষ্ঠিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন- জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক সামান্তা শারমীন, সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ। উপস্থিত ছিলেন নাসীরুদ্দীন পাটোয়ারি, রূপাইয়া শ্রেষ্ঠা তংচঙ্গ্যাসহ নাগরিক পার্টি বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা।