Swadhin News Logo
সোমবার , ২১ জুলাই ২০২৫ | ৩১শে আশ্বিন, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

মীরসরাইয়ে মৎস্য প্রকল্পে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

প্রতিবেদক
Nirob
জুলাই ২১, ২০২৫ ১০:৪৮ অপরাহ্ণ
মীরসরাইয়ে মৎস্য প্রকল্পে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার মুহুরি সেচ প্রকল্প এলাকায় জেগে উঠা চরাঞ্চলে ৮০’র দশকে গড়ে উঠা মৎস্য শিল্প গত কয়েক দশকে দেশের বৃহত্তম মৎস্য প্রকল্প হিসেবে পরিচিতি পায়। গত আগস্ট মাস থেকে মৎস্য প্রকল্পের সঙ্গে জড়িত চাষিরা অব্যাহত হুমকি, দখল, চাঁদাবাজির শিকার হয়ে আসছেন। তাই মৎস্য প্রকল্প রক্ষা ও চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য প্রকল্প মালিক ও এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন। 

সোমবার (২১ জুলাই) বিকালে মুহুরি প্রজেক্ট বাজারে মানববন্ধন কর্মসূচিতে শতাধিক মৎস্য প্রকল্প মালিক ও প্রকল্পে জীবিকা নির্বাহকারী নারী-পুরুষ অংশ নেন।

চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মুহুরি প্রকল্প দেশের বৃহত্তম মৎস্য প্রকল্প। এটি মৎস্য উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার পাশাপাশি স্থানীয় লোকজন, চট্টগ্রাম, ফেনী ও নোয়াখালী অঞ্চলের মাছের চাহিদা পূরণ করছে। এখানকার প্রায় ছয় হাজার একর জমিতে মাছ চাষ করা হয়। বছরে প্রায় ৪২ হাজার টন উৎপাদিত হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা। ১৯৮০ সালে সরকার উপকূলীয় অঞ্চলে বাঁধ নির্মাণ করলে জেগে উঠা চরাঞ্চলে স্থানীয়দের উদ্যোগে সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় হাজারো একর মৎস্য প্রকল্প গড়ে ওঠে।

মৎস্য প্রকল্পের মালিক নুরুল আবছার জসিম বলেন, ‘এক বছর আগে বন্যার ক্ষত এখনও চাষিরা কাটিয়ে উঠতে পারেননি। তার ওপর চাঁদাবাজি এবং প্রকল্প দখলের হুমকি আমাদের নিঃস্ব করে দিচ্ছে। কিছু চিহ্নিত চাঁদাবাজ আমাদের কাছ থেকে চাঁদা দাবি করছে। আমরা ব্যাংক লোন নিয়ে প্রকল্পে বিনিয়োগ করি। এখন যদি চাঁদাবাজদের কারণে প্রকল্পের ক্ষতি হয় তাহলে আমাদের পথে বসা ছাড়া উপায় থাকবে না।’

তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৭ জুলাই আমাদের মৎস্য প্রকল্পে ৪০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে না পেয়ে স্থানীয় চিহ্নিত সন্ত্রাসী সেলিম, দিদার, ইমরান ও জসিমসহ একটি সন্ত্রাসী বাহিনী প্রকল্পের খাদ্য সংরক্ষণ ঘর পুড়িয়ে দেয়। মাছ লুটের চেষ্টা করে এবং কর্মচারীদের মারধর করে। এর মধ্যে দিদারকে গ্রেফতার করে পুলিশ। বাকিদের অনেকে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং চাষিদের জীবননাশের হুমকি দিচ্ছে। চাষিরা ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি ইজারা নিয়ে বৈধভাবে চাষ করলেও একটি মহল মিথ্যা গুজব ছড়িয়ে ওসব জমিকে খাস জমি দাবি করে উচ্ছেদের চেষ্টা করছে।’

মৎস্য প্রকল্প মালিক শেখ মোহাম্মদ আবরার বলেন, ‘মুহুরি সেচ প্রকল্প এলাকায় বৈধভাবে গড়ে ওঠা সব মৎস্য প্রকল্প রক্ষায় এখনি প্রশাসনের উদ্যোগ গ্রহণ করা জরুরি। এ ছাড়া হামলাকারী ও চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ, নিরাপত্তা চেয়ে উপজেলা সেনা ক্যাম্প, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও জোরারগঞ্জ থানায় একাধিক অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। আমরা চাঁদাবাজদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।’

মৎস্য চাষে সম্পৃক্ত আবদুস সালাম ফোরকান ও আহাদুজ্জামান ওহি জানান, ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্প মালিকদের ক্ষতিপূরণ ও সুরক্ষা নিশ্চিতের পাশাপাশি আমরা চাই প্রশাসন নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনবে এবং মৎস্য চাষিদের জীবন ও সম্পদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এই মৎস্য চাষের কারণে শত শত বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের পাশাপাশি সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় করছে।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক

আপনার জন্য নির্বাচিত