মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান দুর্ঘটনায় নিহত মাহেরীন চৌধুরীর স্বামী মনসুর হেলাল কান্নাজড়তি কণ্ঠে বলেন, ‘মৃত্যুর আগে শেষ সময়ে মাহেরীন বলেন, ‘‘আমার বাচ্চারা চোখের সামনে পুড়ে মরছে, আমি কি চুপ থাকতে পারি? তারা সবাইতো আমারই সন্তান’’।
নিহত মাহেরীন চৌধুরী নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার বগুলাগাড়ী রাজারহাট চৌধুরী পাড়ার মৃত মহিতুর রহমান চৌধুরী মেয়ে ও দুই সন্তানের জননী। পরিবার নিয়ে ঢাকার উত্তরার একটি বাসায় বসবাস করতেন।
রাজধানীর উত্তরায় সোমবার (২১ জুলাই) দুপুরের দিকে বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হলে দগ্ধ হন তিনি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রথমে একাধিক শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে নিজেই আগুনে পুড়ে ক্ষতবিক্ষত হন। ঢাকা বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই রাতেই মারা যান।
তার স্বামী বলেন, আইসিইউতে শুয়ে শুয়ে ও আমার হাত নিজেরে বুকের সঙ্গে চেপে ধরেছিল। আমি ওর হাত ধরতে গিয়েছিলাম কিন্তু এমনভাবে পুড়ে গিয়েছিল ঠিকভাবে ধরতেও পারিনি। শেষবাররে মতো বলেছিল, আমার সঙ্গে আর দেখা হবে না।
এ ঘটনায় গ্রামজুড়ে চলছে শোকের মাতম। আত্মীয় স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশী মাহেরীনকে ভুলতেই পারছেন না। জলঢাকা পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বগুলাগাড়ী গ্রামে তার দাফন সম্পন্ন হয়।
উল্লেখ্য, রাজধানীর উত্তরায় বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ভবনে বিধ্বস্ত হয়। এ সময় ওই ভবনে ছিল শিক্ষার্থীরা। এর মধ্যে কমপক্ষে ২০ জনকে আগুন থেকে উদ্ধার করে আগুনে পুড়ে প্রাণ হারান শিক্ষক মাহেরীন।

















