ফেনীর পরশুরাম উপজেলার বাসপদুয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত মো. ইয়াছিন লিটনের (৩২) মরদেহ একদিন পর শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত ১০টার দিকে বাংলাদেশে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় মিল্লাত হোসেন (২১) নামে আরও একজন নিহত হয়েছেন।
ভারতের বিলোনিয়া থানার ওসি শিব রঞ্জন দের নেতৃত্বে মরদেহটি পরশুরাম মডেল থানার ওসি নুরুল হাকিমের কাছে হস্তান্তর করা হয়। হস্তান্তর প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয় বিলোনিয়া সীমান্তের ২১৬৬ নম্বর আন্তর্জাতিক পিলার এলাকায়।
এর আগে সন্ধ্যায় দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মধ্যে কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন ফেনী ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন এবং বিএসএফের পক্ষে ছিলেন ৩৪ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক এ এস বীরেন্দ্র শীল।
বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন বলেন, ‘বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি ইয়াছিন লিটনের মরদেহ আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করা হয়েছে।’
পরশুরাম থানার ওসি নুরুল হাকিম জানান, মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শনিবার ময়নাতদন্ত শেষে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
নিহত লিটন ও মিল্লাতের পরিবারের দাবি, ‘তারা কোনও অপরাধে জড়িত ছিল না। ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।’
এদিকে, সীমান্তে বারবার গুলি করে হত্যা এবং মরদেহ ভারতে পড়ে থাকা নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। সীমান্তে বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার ও আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন তারা।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকালে গুথুমা বিওপির আওতাধীন ২১৬৪/৩-এস সীমান্ত পিলার এলাকায় বিএসএফ গুলি চালায়। এ সময় গুলিতে নিহত লিটনের মরদেহ সীমান্তের ওপারে ভারতে পড়ে থাকে। মিল্লাত হোসেন গুলিবিদ্ধ হন এবং পরে ফেনী সদর হাসপাতালে মারা যান। গুলিতে আহত হন মো. আফছার (৩১), তিনি বর্তমানে ফেনী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।