Swadhin News Logo
শনিবার , ২৬ জুলাই ২০২৫ | ১১ই কার্তিক, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

রাজনৈতিক চরিত্র বদলায়নি, পিআর নির্বাচন হলে ফ্যাসিবাদ বিলুপ্ত হবে: চরমোনাই পীর

প্রতিবেদক
Nirob
জুলাই ২৬, ২০২৫ ৮:২৩ অপরাহ্ণ
রাজনৈতিক চরিত্র বদলায়নি, পিআর নির্বাচন হলে ফ্যাসিবাদ বিলুপ্ত হবে: চরমোনাই পীর

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির চরমোনাই পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেছেন, ‘সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে (পিআর) নির্বাচন হলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ তৈরি হবে না। এতে সব দল ও মতের প্রতিনিধিত্ব থাকবে। অন্তর্ভুক্তি ও জবাবদিহিমূলক সরকার কায়েম হবে। বিলুপ্ত হবে ফ্যাসিবাদ।’

শনিবার (২৬ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে খুলনার শিববাড়ী মোড়ে ইসলামী আন্দোলন আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। ‘রাষ্ট্রের মৌলিক সংস্কার, পতিত ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দ্রুত নিশ্চিত করা, পিআর পদ্ধতিতে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন, বন্ধ মিল কলকারখানা চালু ও ইসলামী সমাজভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দাবিতে এ সমাবেশের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন খুলনা মহানগর ও জেলা শাখা। দলের মহানগরের সভাপতি মুফতি আমানুল্লাহর সভাপতিত্বে ও নগর সহসভাপতি শেখ মো. নাসির উদ্দিন, জেলা সেক্রেটারি হাফেজ আসাদুল্লাহ আল গালিব, মহানগরের সেক্রেটারি মুফতি ইমরান হোসাইনের যৌথ পরিচালনায় সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

গত ১৫ বছরের পতিত ফ্যাসিবাদের বিষাক্ত ছোঁয়া এখনও দেশকে অনিরাপদ করে রেখেছে উল্লেখ করে চরমোনাই পীর বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার দেশকে অস্থিতিশীল করে সুযোগ নেওয়ার পাঁয়তারা করছে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোকে নিজ দলের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। একইসঙ্গে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে সমালোচনা, বক্তব্যে ও মন্তব্যে শিষ্টাচারের প্রতি খেয়াল রাখতে হবে। কারণ এসবের মাধ্যমে কোনও অবস্থায় পতিত ফ্যাসিবাদকে সুযোগ করে দেওয়া যাবে না।’

সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম বলেন, ‘৫ আগস্টের পর দেশ গঠনের জন্য সংস্কারের স্বার্থে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য তৈরি হয়েছে। তবে সেই সংস্কার হতে হবে রাষ্ট্রের কাঠামোতে, আইনে এবং রাজনৈতিক দলের চরিত্র ও সংস্কৃতিতে। রাষ্ট্রের কাঠামো ও আইনি সংস্কারের কাজে কিছুটা অগ্রগতি হলেও রাজনৈতিক চরিত্র ও সংস্কৃতিতে কোনও পরিবর্তন আসেনি। রাজনৈতিক চরিত্র বদলায়নি। রাজনৈতিক হানাহানিতে নিহত-আহত মানুষের সংখ্যা শুনে আঁতকে উঠতে হয় আমাদের। চাঁদাবাজি কোনও ক্ষেত্রেই কমেনি। সন্ত্রাসও কমেনি। বরং রাজনৈতিক পরিচয়ে ধর্ষণের মতো ঘটনা বেড়েছে। মিটফোর্ডের সামনে হত্যার প্রতিবাদে ছাত্র-জনতা ফুঁসে উঠেছিল। তাদের প্রতিবাদকে রাজনৈতিক ইস্যু বানিয়ে বর্বর হত্যাকাণ্ডকে আড়াল করে ফেলা হয়েছে। জুলাই অভ্যুত্থানের পর মানুষ এই ধরনের রাজনীতি দেখতে চায় না। এসব অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের একটা বড় অংশ বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। বিএনপি কর্তৃক বহিষ্কারের ঘটনার মাধ্যমে তা প্রমাণিতও বটে। তাই বিএনপি নেতৃবৃন্দকে বলবো, কর্মীদের অপরাধের দায়ভার দল হিসেবে আপনাদের বহন করতেই হবে। চাঁদাবাজরা বিএনপির সঙ্গে সম্পৃক্ততা দেখিয়ে চাঁদাবাজি করে। তাই জনতার ক্ষোভ বিএনপির প্রতি হবে এটাই স্বাভাবিক। জনতার এই প্রতিবাদকে প্রতিপক্ষ না বানিয়ে দলের ভেতরে থাকা অপরাধীদের চিহ্নিত করুন। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির খুলনা মহানগরের সভাপতি শফিকুল ইসলাম মনা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর মহানগরের সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, এনসিপির মহানগরের সংগঠক হামিম রাহাত, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের মহানগরের সভাপতি মুফতি শরীফ সাইদুর রহমান, হেফাজত ইসলামের মহানগরের সভাপতি মাওলানা মোস্তাক আহমেদ, গণঅধিকার পরিষদ মহানগরের সভাপতি বেলাল হোসেন, এবি পার্টির জেলা সেক্রেটারি মো. আকতার হোসেন, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মহানগরের সভাপতি বীরেন ঘোষ, পূজা উদযাপন পরিষদ মহানগরের সেক্রেটারি প্রশান্ত কুন্ডু, জমিয়তে উলামায়ের মহানগরের সভাপতি মাওলানা নাসির উদ্দিন কাসেমী, আমজনতা পার্টির জেলা আহ্বায়ক সাইফুল্লাহ বাবু, জেলা ইমাম পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এফএম নাজমুস সাউথ প্রমুখ।

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক