গাজীপুরের শ্রীপুরে বাবা হাসমত আলীর (৮৩) মৃত্যুর খবর শোনার দুই ঘণ্টা পর ছেলে বাবুল মিয়া (৪৮) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। রবিবার (৩ আগস্ট) সকালে উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের ধামলই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। একসঙ্গে বাবা-ছেলের মৃত্যুর খবরে ওই গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে। মাগরিবের নামাজের পর জানাজা শেষে তাদের পাশাপাশি দাফন করা হয়েছে।
হাসমত আলী শ্রীপুর সাবরেজিস্ট্রি অফিসে এবং ছেলে বাবুল টঙ্গী সাবরেজিস্ট্রি অফিসের দলিল লেখক ছিলেন।
স্থানীয়রা বলেন, বার্ধক্যজনিত কারণে দীর্ঘদিন ধরে হাসমত আলী বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। পাশাপাশি হাসপাতালে তার চিকিৎসাও চলছিল। সকালে হঠাৎ তার মৃত্যু হয়। স্বজনরা বাবুল মিয়াকে তার বাবার মৃত্যুর খবর জানালে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। কিছুক্ষণ পর বুকে ব্যথা শুরু হলে স্বজনরা তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসক জানিয়েছেন, হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে। বাবা-ছেলের এমন মৃত্যুর খবরে ধামলই গ্রামের লোকজনের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
কাওরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (৬নং ওয়ার্ড) আলম খান বলেন, ‘বাবুল সব সময় তার বাবার খোঁজখবর রাখতেন। হঠাৎ করে তার বাবার এমন চলে যাওয়া হয়তো তার সহ্য হয়নি। বাবুল যেন তার বাবাকে একা যেতে দিলেন না! একই সময়ে জানাজা শেষে পাশাপাশি দুটি কবরে বাবা-ছেলেকে দাফন করা হয়েছে। দাফনের সময় উপস্থিত মুসল্লিরা চোখের পানি ধরে রাখতে পারেনি। দলিল লেখক হিসেবে তারা ধামলইসহ আশপাশের গ্রামের মানুষের সব সময় সেবা করেছেন।’

















