কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলার নয়ারহাটে বিশেষ অভিযান চালিয়ে জুয়ার আসর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্যসহ ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করে ঢুষমারা থানা পুলিশ। ঢুষমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মতিয়ার রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতাররা হলেন- নয়ারহাট ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সানোয়ার হোসেন (২৮), ঢুষমারা থানাধীন এলাকার মো. আবু বকর (৫২), কোরবান আলী (৪৬), আব্দুল মালেক (৪০), কাবেল (৪০), শওকত (৪০), আলমগীর (৪০), মহিলার (৪৫), মোনছের আলী (৩৫), জাবেদ আলী (৪০), তারা মিয়া (৩৭), আবু বকর (৪০), মাইনুল (২৭) ও সুমন (২৬)।
পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে নয়ারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ খাউরিয়া এলাকার আবু বকরের বাড়ির একটি ঘরে জুয়া খেলা চলছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে খেলার আসর থেকে ১৪ জনকে গ্রেফতার করে। এ সময় জুয়া খেলার সরঞ্জাম ও নগদ ৩৯ হাজার ৯২০ টাকা জব্দ করা হয়।
ওসি মতিয়ার রহমান বলেন, ‘গ্রেফতার আসামিদের রবিবার দুপুরে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া পুলিশ সুপারের নির্দেশনায় মাদক, জুয়াসহ বিভিন্ন অপরাধ বিরোধী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
এদিকে, জুয়ার আসর থেকে ইউপি সদস্য সানোয়ার হোসেন গ্রেফতার হওয়ার ঘটনায় এলাকায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই ইউপি সদস্যকে কেউ কেউ ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি দাবি করেছেন। তবে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে চিলমারী উপজেলা জামায়াত।
উপজেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ফজলুল হক মিঠুন এবং জামায়াতের রোকন মো. হযরত আলী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘নয়ারহাট ইউনিয়ন জামায়াতের সভাপতি হাফেজ মাওলানা মহসিন আলী। ইউপি সদস্য সানোয়ারের সঙ্গে জামায়াতের দূরতম কোনও সম্পর্ক নেই। কিছু গণমাধ্যম তাকে জামায়াত নেতা উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ করেছে। আমরা মনে করি, এটি সম্পূর্ণ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা লিখিতভাবে প্রতিবাদ জানাবো।’
















