Swadhin News Logo
মঙ্গলবার , ৫ আগস্ট ২০২৫ | ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
  1. best
  2. cassinoBR
  3. আন্তর্জাতিক
  4. কৃষি ও প্রকৃতি
  5. ক্যাম্পাস
  6. খেলাধুলা
  7. চাকরি
  8. জাতীয়
  9. জোকস
  10. তথ্যপ্রযুক্তি
  11. দেশজুড়ে
  12. ধর্ম
  13. নারী ও শিশু
  14. প্রবাস
  15. বই থেকে

কষ্টে আছেন গণ-অভ্যুত্থানে গুলিতে পঙ্গু হয়ে যাওয়া পারভেজ

প্রতিবেদক
Nirob
আগস্ট ৫, ২০২৫ ৮:২১ অপরাহ্ণ
কষ্টে আছেন গণ-অভ্যুত্থানে গুলিতে পঙ্গু হয়ে যাওয়া পারভেজ

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গুলিতে গুরুতর আহত হয়ে পঙ্গু হয়ে যাওয়া ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার পারভেজ মিয়া দুঃখ-কষ্টে জীবন চালাচ্ছেন। এ অবস্থায় তার হাতে ৩৫ হাজার টাকার অনুদানের চেক তুলে দিয়েছেন ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. মো. নাজমুল হাসান খান। মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) দুপুরে মেডিক্যাল কলেজ কনফারেন্স হলে আনুষ্ঠানিকভাবে এ চেক হস্তান্তর করা হয়। 

এ সময় কলেজের উপাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. মতিউর রহমান, বিএমএ ময়মনসিংহের সাবেক সভাপতি একেএম মুসা শাহীন, ড্যাব ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল শাখার সভাপতি মো. বদর উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মাহমুদ হোসেন নাসিমসহ চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন। 

অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ নাজমুল হাসান খান বলেন, ‘পারভেজের মতো বীররা রাস্তায় নামায় জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বৈরাচারের পতন হয়েছে। মানুষ পেয়েছে নতুন বাংলাদেশ। যাদের কারণে আমরা নতুন দেশ পেলাম তাদের পাশে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার দায়িত্ব আমাদের সবার। আমরা সাধ্যের মধ্যে যুদ্ধাহত পারভেজের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি। তবে এসব বীরদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা গেলে তাদের পরিবারগুলো ভালো থাকবে।’

চেক হাতে পেয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে পারভেজ বলেন, ‘আমি গরিব বাবা-মায়ের সন্তান। এসএসসি পাস করার পর সংসারের হাল ধরতে গার্মেন্টসে চাকরি নিই। আড়াই বছর আগে বিয়ে করে সংসার শুরু করি। স্ত্রী মাওনাতে আমার সঙ্গে ভাড়া বাসায় থাকতো। এর মধ্যে গত বছর জুলাই গণ-অভ্যুত্থান শুরু হয়। আমিসহ আমার সহকর্মীরা আন্দোলনে যোগ দিই।’ 

তিনি বলেন, ‘৫ আগস্ট দুপুরের পর মাওনা চৌরাস্তায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বিজিবির পোশাক পরিহিত ব্যক্তিদের সরাসরি গুলি এসে আমার তলপেটে লাগে। আমি রাস্তায় পড়ে যাই। রক্ত ঝরছিল। প্রায় দেড় ঘণ্টা রাস্তায় পড়েছিলাম। এরপর এক সহকর্মী দেখতে পেয়ে আমার শ্বশুরকে ফোন দিয়ে নিয়ে আসেন। শ্ব শর এবং ওই সহকর্মী আমাকে উদ্ধার করে মাওনা চৌরাস্তার আলহেরা প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করেন। কোনোমতে গুলিতে রক্তাক্ত তলপেটের রক্ত বন্ধ করার জন্য ব্যান্ডেজ করে দিয়ে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সন্ধ্যার পরে ভর্তি হলে হাসপাতালে অপারেশন করে পেট থেকে গুলি বের করা হয়। সাত দিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর ছুটি দিয়ে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এরপর আমার বাঁ পায়ে সমস্যা দেখা দেয়। আমি চলাফেরা করতে পারি না। আবারও হাসপাতালে আসলে ডাক্তাররা উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালের পাঠিয়ে দেন। সেখানে ডাক্তাররা বলেন গুলি লাগার কারণে নার্ভ ইনজুরি হয়েছে। সেখানে পায়ের অপারেশন করা হয়। দুই মাস হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর বাড়িতে আসি। কিন্তু এখনও পা ঠিক হয়নি। হাঁটাচলা করতে পারি না। চিকিৎসা করাতে গিয়ে জুলাই ফাউন্ডেশন থেকে পাওয়া এক লাখ টাকা খরচ হয়ে গেছে। সংসার খরচ চালাতে প্রায় দেড় লাখ টাকা ঋণ করেছি। কিন্তু এখন আর সংসার চালাতে পারছি না। চার মাস আগে আমার কন্যাসন্তান পৃথিবীতে আসে। অর্থের অভাবে স্ত্রী-সন্তানের ভরণপোষণ চালাতে পারছি না। এজন্য গ্রামে শ্বশুরবাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছি তাদের। সরকার আমার মতো পঙ্গুদের পুনর্বাসন করলে অনেক উপকার হতো।’

সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক