রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট এলাকায় পদ্মা নদিতে তীব্র স্রোতের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ধাক্কায় একটি মালবাহী ট্রলার তলিয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী সম্রাট শাহজাহান, দর্শনার্থী আজিজ মুন্সিসহ কয়েকজন জানান, সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে দৌলতদিয়ার ৫নং ফেরিঘাটের পন্টুনের সঙ্গে বালুবোঝাই একটি বড় বলগেট বাঁধা ছিল। তীব্র স্রোতের টানে বলগেটটির রশি ছিঁড়ে সজোরে পেছনে থাকা একটি কার্গো জাহাজে আঘাত করে। এ সময় কার্গোর ওপর থাকা বেশ কয়েকজন অল্পের জন্য নদীতে পড়ে যাওয়া থেকে রক্ষা পান।
এদিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে কার্গো ও বলগেট দুটি ৫নং ঘাটের পন্টুনে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে পশ্চিম দিকে থাকা একটি মালবাহী ট্রলার পন্টুনের ধাক্কায় মুহূর্তে তলিয়ে গিয়ে স্রোতে হারিয়ে যায়। এ সময় ট্রলারের চালক বাচ্চু খা (৪০), তার ভাতিজা সাব্বির খাঁ (২০) পন্টুনের রশি ধরে কোনোমতে প্রাণে রক্ষা পান।
দৌলতদিয়ার ৪নং ফেরিঘাট সংলগ্ন সিদ্দিক কাজী পাড়ার বাসিন্দা ক্ষতিগ্রস্ত বাচ্চু খা জানান, নদীর পাড়ের তার বসতবাড়ি। ভাঙন শুরু হওয়ায় বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাড়িঘর ভেঙে মালামাল ট্রলারে করে ৭নং ফেরিঘাট এলাকায় নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিচ্ছিলেন। বিকালে বাড়িতে থাকা কিছু বালু ও মালামাল বোঝাই করে ৫নং ঘাটের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলাম। এ সময় পন্টুনের কাছাকাছি থাকায় প্রচণ্ড ধাক্কায় তাদের ট্রলারটি মূহুর্তে তীব্র স্রোতে ডুবে স্রোতে হারিয়ে যায়। তবে সৌভাগ্যক্রমে চাচা-ভাতিজা পন্টুনের রশি ধরে তীরে উঠতে সক্ষম হন। অন্যথায় স্রোতের মধ্যে পড়লে হয়তো উঠতে পারতাম না।
বাচ্চু খার বড় ভাই সালাম খা জানান, সারে ২৮ হাত লম্বা তাদের ট্রলারটি বানাতে প্রায় দেড় লাখ টাকা ব্যয় হয়েছিল। নদী ভাঙনে বাড়িঘর ও বসতভিটে চলে যাচ্ছে। এখন উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন ট্রলারটি হারিয়ে যাওয়ায় তার ভাই চরম বিপাকে পড়ে গেলো। তবে সৃষ্টিকর্তার প্রতি শুকরিয়া যে তার ভাই ও ছেলে বেঁচে গেছে।