ফরিদপুরের বোয়ালমারীতে চলাচলের সড়কে পাট শুকানো ও বাঁশ টাঙানোকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে নারীসহ ২০ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বাজিদাদপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের সাত জনকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদের মধ্যে উত্তম সরকার (৩০) নামে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। বাকিরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
গুরুতর আহতরা হলেন- বাজিদাদপুর গ্রামের বিশ্বাস গ্রুপের জগদীশ বিশ্বাস (৬০), জয়ন্ত বিশ্বাস (২৬) ও অপূর্ব বিশ্বাস (৩৫) ও বালা গ্রুপের শিবু বালা (৬০), রতন বালা (৪০) ও সুজন সরকার (২৫)। তারা ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এ ছাড়া জগদীশের স্ত্রী ইতি বিশ্বাস (৫২), সুশান্ত বিশ্বাস (৩০), রবিন বিশ্বাস (৫০), সমীর বিশ্বাস (৪০), সুজন সরকার (৩০), শুক্লা বিশ্বাসসহ (৩৩) বাকিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে ফিরেছেন।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা গেছে, জেলার বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের বাজিদাদপুর গ্রামের নীতিশ কুমার বালা (৫৫) ও জগদ্বীশ কুমার বিশ্বাসের (৬০) মধ্যে বাড়ির সামনে রাস্তা সংলগ্ন জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে সম্প্রতি মীমাংসা করে সীমানা নির্ধারণ পিলার বসিয়ে দেওয়া হয়।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জগদিশ বিশ্বাসরা পাট শুকানো ও বাঁশ টাঙাতে গেলে প্রতিপক্ষ নীতিশ কুমার বালার লোকজন বাধা দেয়। এ সময় বাঁশ সরানো নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ১৭ জন আহত হন।
আহতদের উদ্ধার করে বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উভয়পক্ষের সাত জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
বোয়ালমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাবরিনা হক রুম্পা জানান, একটি মারামারির ঘটনায় ১৭ জন হাসপাতালে আসে। সেখান থেকে সাত জনকে ফরিদপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
সংঘর্ষের ঘটনাস্থল পরিদর্শনকারী শেখর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আবু সাইদ (পান্নু) বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষকে নিবৃত করার চেষ্টা করি। সংঘর্ষ থেমে যাওয়ার খবর পেয়ে টহল পুলিশ অর্ধেক পথ এসে আবার ফিরে গেছেন। দীর্ঘদিন দুই পক্ষের মধ্যে ঝামেলা চলছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শুক্রবার বিকাল পৌনে ৫টার দিকে বোয়ালমারী থানার ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, খবর পেয়ে টহল পুলিশ ঘটনাস্থলে যাচ্ছিল। তবে সংঘর্ষ থেমে যাওয়ায় তারা ফিরে এসেছেন। এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

















