সুনামগঞ্জে মাইক্রোবাসের এসির গ্যাসে ৭ যাত্রী অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন। মাইক্রোবাসটি সিলেট থেকে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের পাথারিয়া বাজারে যাওয়ার পথে দিরাই রাস্তার মোড় এলাকায় যাত্রীরা অজ্ঞান হয়ে যান। পরে স্থানীয়রা তাদের মাথায় পানি ঢেলে কিছুটা সুস্থ করে চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে পাঠান। সেখানে চিকিৎসকরা তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকালে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, সিলেটের চৌহাট্টা থেকে একটি ভাড়াটে মাইক্রোবাস ১০ যাত্রী নিয়ে সুনামগঞ্জ আসছিলেন। আসার সময় দিরাই রাস্তার মোড়ে মাইক্রোবাসে থাকা নারী যাত্রীরা হঠাৎ এক এক করে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে স্থানীয়রা তাদের মাথায় পানি ঢেলে কিছুটা সুস্থ করে হাসপাতালে পাঠান। অজ্ঞানদের মধ্যে দুই জনের শারীরিক অবস্থা ভালো থাকলেও পাঁচ জন অর্ধচেতন ছিলেন।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন- শান্তিগঞ্জ উপজেলার পাথারিয়া গ্রামের ইজাজুল ইসলামের স্ত্রী সালেহা বেগম (৫০), মেয়ে রাইসা বেগম (১৬), সাইদা আক্তার (১৫), দিরাই উপজেলার সিজ্জিল মিয়ার মেয়ে নাদিয়া বেগম (১৮) ও তানিশা বেগম (১২) রাজ্জাক মিয়ার মেয়ে মহিমা আক্তার (১৮) ও নাহিদ মিয়ার স্ত্রী শেফালি আক্তার ৪০।
আহত শেফালি আক্তার বলেন, এসির বাতাসে তীব্র ঝাঁঝালো গন্ধে নাক-মুখ বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। পরে গাড়ির জানালা খুলে দেওয়ার পরও ঝাঁঝালো গন্ধের কারণে তাদের দম বন্ধ অবস্থা সৃষ্টি হয়। মাইক্রোবাসটি থামিয়ে সবাইকে গাড়ি থেকে নামিয়ে মাথায় পানি ঢেলে কিছুটা সুস্থ করা হয়।
সালেহা বেগম জানান, এসির গ্যাসের ঝাঁঝালো গন্ধ তারা সহ্য করতে না পেরে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পরে লোকজন মাথায় পানি ঢেলে সুস্থ করে।
সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, গাড়িতে স্থাপন করা এসির গ্যাসের প্রভাবে এমনটি হতে পারে। এসির গ্যাস লিক হয়ে পুরো গাড়িতে ছড়িয়ে পড়ে তাই নারীরা অসুস্থ হয়ে পড়েন। তবে তাদের গায়ে ভারী কাপড় পড়া ছিল। তাই শরীরের তাপ ও এসির ঠান্ডায় এরকম হতে পারে।
জয়কলস হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই নাজমুল হক বলেন, পুলিশ খোঁজ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে কাউকে পায়নি। স্থানীয়রা জানান, চিকিৎসার জন্য তাদেরকে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তিনি সন্দেহ করে বলেন, এসির মেয়াদোত্তীর্ণ গ্যাস হলে এরকম হতে পারে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না। যাদের শ্বাস কষ্ট বেশি তাদেরকে সিলেটে রেফার্ড করা হয়েছে।