রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফার্মেসি বিভাগে স্নাতক (সম্মান) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষে ভর্তি প্রক্রিয়ার কাগজপত্রে জাল-জালিয়াতির মূলহোতা রাইসুলকে গ্রেফতার করেছে মতিহার থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃত রাইসুল ইসলাম রাহি নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ থানার পুটিমারী গ্রামের নুর মোহাম্মদ রাজ্জাক ওরফে মো. আহাম্মাদ খন্দকারের ছেলে। বর্তমানে দিনাজপুরের পার্বতীপুর থানার বাবুপাড়ার বাসিন্দা তিনি।
শনিবার (৯ আগস্ট) বিকালে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। পুলিশ জানায়, আব্দুল্লাহ আল ইমরান ও তার বান্ধবী ২০২৫ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে অকৃতকার্য হন। তারা গত ১৭ জুলাই বিশেষ কোটায় ভর্তির লক্ষ্যে ফার্মেসি বিভাগে ভর্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র জমা দেন। ফার্মেসি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কাগজপত্রের স্বাক্ষর জাল সন্দেহ হলে ইমরানকে ২০ জুলাই পুনরায় আসতে বলেন। সে সময়ে ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. শাহনাজ পারভীন ছুটিতে ছিলেন। ইমরান একাই ২০ জুলাই না এসে ২৭ জুলাই ভর্তি সংক্রান্ত কাগজপত্র ফার্মেসি বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. শাহনাজ পারভীনের কাছে উপস্থাপন করেন। কাগজপত্র যাচাই করে তা জাল প্রমাণিত হলে প্রফেসর ড. শাহনাজ পারভীন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমানকে অবগত করেন এবং প্রক্টর আরএমপির মতিহার থানা পুলিশ ইমরানকে মাতহার থানায় সোপর্দ করে। পরবর্তীতে প্রক্টর প্রফেসর ড. মাহবুবর রহমান মতিহার থানায় জালিয়াতির অভিযোগ দাখিল করলে মামলা রেকর্ড করা হয়।
মামলার পর মতিহার থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান জানান, টাকার বিনিময়ে রাইসুল ইসলাম তাকে ভর্তি করিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে জাল কাগজপত্র সরবরাহ করেছেন। এ ঘটনায় পলাতক আসামি রাইসুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান অব্যাহত রাখে মতিহার থানা পুলিশ। পরবর্তীতে মতিহার থানার এসআই জাকারিয়া মাসুদ ও তার টিম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত ৮ আগস্ট সোয়া ২টায় রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের তাজহাট থানার সহায়তায় দর্শনার মোড় এলাকা থেকে পলাতক আসামি রাইসুল ইসলামকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামির বিরুদ্ধে মতিহার থানায় জালিয়াতি মামলা হয়েছে। আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।