হত্যা মামলায় জামিনে এসে খুন হলেন ওয়াজেদ আলী (৪৮) নামের এক ব্যক্তি। তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ সময় তার সঙ্গে থাকা তার স্ত্রী লাইলী বেগম (৬০) ও সন্তান মাসুম আলী (২৮) আহত হন। ওয়াজেদ আলীর বাবার নাম মৃত দলিম উদ্দিন।
রবিবার (১০ আগস্ট) বিকাল পৌনে ৩টার দিকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে, এদিন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দুর্গাপুর উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের হোজা অনন্তকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে- গত ১৪ মে একই গ্রামে মারামারির ঘটনায় হাসিবুর নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় গত ১৫ মে দুর্গাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। মামলার সাত নম্বর আসামি ছিলেন ওয়াজেদ আলী। জামিনে মুক্ত হয়ে তিনি এলাকায় অবস্থান করেন। রবিবার সকালে ওয়াজেদ আলী তার ছেলেকে নিয়ে হোজা বিলের পশ্চিম পাশে নিজের পান বরজে কাজ করছিলেন। এ সময় একই গ্রামের একরামুল, ফয়সাল, এমদাদুল, হান্নান ও মান্নানসহ ১০ থেকে ১৫ জন লাঠি, লোহার রড, হাঁসুয়া ও রামদা নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায়।
এই হামলায় ওয়াজেদ আলীর মাথা, বাঁ হাতের কবজি ও পায়ে গুরুতর জখম হয়। এ সময় তার ছেলে মাসুম ও স্ত্রী লাইলী বেগমও আহত হন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য দুজনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়। রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকাল পৌনে ৩টার দিকে ওয়াজেদ আলী মারা যান।
ওয়াজেদ আলীর স্ত্রী লাইলী বেগম বলেন, ‘আমার স্বামী ও সন্তান আদালত থেকে জামিনে এসেছে কিছুদিন আগে। তবু প্রতিপক্ষের ভয়ে আমরা নিজ বাড়িতে উঠতে পারিনি। বিভিন্ন সময় তারা হুমকি-ধমকি দেয়। এজন্য আমরা আত্মীয়ের বাড়িতে থাকি। সকালে পানের বরজে গেলে আমার স্বামী ও সন্তানকে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা হামলা চালায়। এমনকি আমাকেও মারধর করে।’
এ বিষয়ে দুর্গাপুর থানা পুলিশের তদন্ত (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘পূর্বশত্রুতার জেরে মারামারিতে ওয়াজেদ আলী নামের এক ব্যক্তি রাজশাহী হাসপাতালে মারা গেছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’