চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে বিদেশ পাঠানোর টাকা লেনদেনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাচা হাসান গাজীর (৪০) ধারালো অস্ত্রের আঘাতে নিহত হয়েছেন ভাতিজা বাহার হোসেন বাবু (২৩)। এই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন নিহত বাবুর বাবা রৌশন গাজী (৫৫) ও বড় ভাই আরমান হোসেন গাজী (২৭)। ঘটনায় অভিযুক্ত চাচা হাসান ও তার ছেলে সাকিলকে (২৩) পুলিশে সোপর্দ করেছেন স্থানীয়রা।
সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার সুবিদপুর পূর্ব ইউনিয়নের বড়গাঁও গ্রামের গাজী বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এ তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) লুৎফুর রহমান।
নিহতের বাবা রৌশন আলী চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন এবং প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভাই আরমানকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পরিবারের বরাত দিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ওবায়দুল হক বলেন, বড়গাঁও গ্রামের গাজী বাড়ির প্রবাসী হাসানের সঙ্গে একই বাড়ির বাসিন্দা বাহার হোসেন বাবুর সঙ্গে বিদেশে পাঠানোর টাকা নিয়ে লেনদেন ছিল। প্রায় একমাস আগে বাবু ওমান থেকে দেশে এলে হাসানের সঙ্গে বিরোধ বাধে। এ নিয়ে এলাকায় কয়েক দফা সমঝোতা বৈঠক হলেও সমাধান হয়নি।
তিনি বলেন, সর্বশেষ আজকেও সমঝোতা বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। এরই মধ্যে হাসান দুপুরে বাবুকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে অন্যদের সহযোগিতায় নিজের ঘরের সামনে ধারালো ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে। এ সময়ে বাবুকে বাঁচাতে তার সহোদর আরমান হোসেন গাজী ও তার বাবা রৌশন আলী এগিয়ে এলে ঘাতক হাসান, তার ছেলে রাকিব, সাকিল ও তার পুত্রবধূ সুমাইয়া তাদের ওপর হামলা করে। এ সময় আরমানের বুকে ছুরিকাঘাত ও রৌশন আলীকে মাথাসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে। ঘটনা জানাজানি হলে স্থানীয়রা উত্তেজিত হয়ে হাসানকে আটকে রেখে পুলিশে সোপর্দ করে। এ ছাড়া ঘাতক সাকিল পালিয়ে যাওয়ার সময় পার্শ্ববর্তী মুন্সীরহাট বাজার এলাকা থেকে স্থানীয়রা আটক করে তাকেও পুলিশের হাতে তুলে দেয় এবং অপর ঘাতক রাকিব হোসেন (১৯) পালিয়ে গেছে।
ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ্ আলম বলেন, ঘটনার পর অভিযুক্ত হাসান ও তার ছেলে সাকিলকে আটক করা হয়েছে। নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

















