বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে দেশব্যাপী থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা কার্যক্রম বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে যশোরের বেনাপোল কাস্টমস ক্লাবে সেমিনারটি অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক সদস্য ডাক্তার হুমায়ুন কবির বলেন, ‘থ্যালাসেমিয়া একটি জিনগত রোগ। মা-বাবার কাছ থেকেও বিস্তার হতে পারে। দেশে প্রতি বছর ৮ হাজার শিশু থ্যালাসেমিয়া রোগের জীবাণু নিয়ে জন্মগ্রহণ করে। রোগের ভয়াবহতা প্রতিরোধে জনসচেতনতার লক্ষ্যে শিশুসহ সবার রক্ত পরীক্ষা করা জরুরি। দেশে প্রায় ২ কোটি মানুষ অজ্ঞাতসারে থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক এবং আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৬০ হাজার।’
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কমিশনার খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন বলেন, ‘অস্থিমজ্জা প্রতিস্থাপনের মাধ্যমে এই প্রাণঘাতী রোগের নিরাময় সম্ভব হলেও অনেক বেশি খরচের কারণে এবং মজ্জাদাতার অভাবে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় না।’
সেমিনারে থ্যালাসেমিয়া রোগের বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের হেড অব এইচআর অ্যান্ড অপারেশনস এবিএম জোনায়েদ। আলোচনা করেন থ্যালাসেমিয়া ফাউন্ডেশনের চিফ কো-অর্ডিনেটর ডা. সাজিয়া শারমিন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন যশোর ভ্যাট ও কাস্টমস কমিশনার ফয়সাল মোহাম্মদ মুরাদ। আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বেনাপোল কাস্টমস হাউজের কমিশার খালেদ মোহাম্মদ আবু হোসেন।
সেমিনার শেষে ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে রক্তদান কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

















