নাটোরের সিংড়া উপজেলার চামারি ইউনিয়নের মহিষমারি গ্রামে মাদকাসক্ত ছেলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে তাকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে বাবার বিরুদ্ধে। ঘটনার পর থেকে পলাতক বাবা।
নিহত ওই ছেলের নাম শফিকুল ইসলাম (৩০) ওরফে শরিফুল। তিনি ওই এলাকার শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ আলীর ছেলে।
সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ইউপি মেম্বার সাবান আলী সংশ্লিষ্ট পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানান, শহিদ আলী পেশায় গাছ ও কাঠ ব্যবসায়ী। তার তিন ছেলের মধ্যে শরিফুল বড়। মাদকাসক্ত ওই যুবকের বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে চুরি, মেয়েদের উত্ত্যক্ত করা, মানুষকে ধারালো চাকু দেখিয়ে ছিনতাইসহ নানা অভিযোগে অতিষ্ঠ বাবা-মা। এ পর্যন্ত তিনটি বিয়ে করলেও ওই আচরণে কেউ থাকেনি। তাকে শাসন করতে গেলেও কারও কথা শোনে না। উল্টো বাবা-মা-ভাইদের তাড়িয়ে বেড়ায়।
ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি আরও জানান, শনিবার বিকালে মাদকাসক্ত অবস্থায় বাড়ি ফেরে ওই যুবক। ওই সময় নানা অভিযোগ নিয়ে কথা বললে উত্তেজিত হয়ে সে বাবা-মা-ভাইদের ওপর চড়াও হয়। একপর্যায়ে প্রাণ বাঁচাতে সবাই বাড়ি থেকে চলে যায়। তার মা ছোট ছেলেকে নিয়ে একই এলাকায় তার নানাবাড়িতে আশ্রয় নিয়ে রাগে বলতে থাকেন, ওই ছেলের মৃত্যু খবর পেলেই তিনি বাড়ি ফিরবেন, নইলে নয়। মেজো ছেলে আর তার বাবাও বাড়ি থেকে চলে যায়। একপর্যায়ে নিজ ঘরে ঘুমিয়ে যায় ওই যুবক। ওই সময় বাড়ি ফিরে বাবা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘাড়ে উপর্যুপরি আঘাত করে চলে যান।
রাতে ছোট ছেলে নানাবাড়ি থেকে চুপি চুপি বাড়ি ফিরে বড় ভাইয়ের রক্তাক্ত দেহ দেখে নানাবাড়ি গিয়ে মাকে জানায়। খবর পেয়ে রাত ১০টার দিকে মা পৌঁছে চিৎকার আর কান্না করতে থাকলে সবাই জানতে পারেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, নিহতের ঘাড়ে ধারালো অস্ত্রের কয়েকটি আঘাত দেখা গেছে।
ওসি মমিনুজ্জামান জানান, রবিবার (১৭ আগস্ট) সকালে খবর পেয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নাটোর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

















