চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেফতার আট জনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) চট্টগ্রামের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহারের আদালত শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
আট আসামি হলেন- ইমরান হোসেন (৩৫), হাসান (২২), রাসেল (৩০), আলমগীর (৩৫), নজরুল ইসলাম (৩০), জাহেদ (৩০), আরমান (২৪) ও দিদারুল আলম (৪৬)। তারা সবাই চট্টগ্রামের হাটহাজারীর ফতেহপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডের বাসিন্দা। এর মধ্যে ইমরান, হাসান ও রাসেল সংঘর্ষের ঘটনায় হওয়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। গত মঙ্গলবার রাতে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ।
চট্টগ্রাম জেলা কোর্ট পরিদর্শক হাবিবুর রহমান বলেন, গ্রেফতার আট আসামির জামিনের আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন।
গত শনিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টা থেকে পরদিন দুপুর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ নম্বর গেট এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের কয়েক দফা সংঘর্ষ ও পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে মারধরের অভিযোগ থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত। সংঘর্ষে সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক কামাল উদ্দিন, প্রক্টর অধ্যাপক তানভীর মোহাম্মদ হায়দার আরিফ ও কমপক্ষে ২০০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, এ ঘটনায় ১০ থেকে ১২ জন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গ্রামবাসীর সংঘর্ষের ঘটনায় এক হাজার ৯৫ জনের বিরুদ্ধে গত মঙ্গলবার মামলা করে কর্তৃপক্ষ। বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) আবদুর রহিম বাদী হয়ে হাটহাজারী থানায় এই মামলা করেন। এতে ৯৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে আসামি করা হয় আরও এক হাজার জনকে। এক ছাত্রীকে ভাড়া বাসার দারোয়ান কর্তৃক মারধরের ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ হয় বলে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করলেও মামলার এজাহারে তা উল্লেখ করা হয়নি।