চাঁদপুরে জুলাই মঞ্চের নেত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) এক নেতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার গুপ্টি পূর্ব ইউনিয়নের শ্রীকালিয়া গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার সৈকত হোসেন আমিন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ফরিদগঞ্জ উপজেলা শাখার যুগ্ম সমন্বয়কারী। গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম। তার পদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এনসিপির চাঁদপুর জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী মো. মাহবুব আলম। এর আগে ২৬ অক্টোবর চাঁদপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ওই নেত্রী। তিনি জুলাই মঞ্চের জেলা আহ্বায়ক কমিটির পদে আছেন।
ভুক্তভোগী নারী ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, কয়েক মাস আগে জুলাই মঞ্চের নেত্রীর সঙ্গে সৈকত হোসেনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তা শারীরিক সম্পর্কে গড়ায়। পরে বিয়ে করতে অস্বীকার করায় বিয়ের দাবিতে গত ৫ অক্টোবর সৈকতের গ্রামের বাড়িতে অবস্থান নেন নেত্রী। সেখানে দুদিন অনশনের পর এনসিপির ও জুলাই মঞ্চের জেলার নেতারা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সমাধান না হওয়ায় ২৬ অক্টোবর চাঁদপুর আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন নেত্রী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে এনসিপি নেতার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। বুধবার সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে সৈকতকে গ্রেফতার করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ শাহ আলম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা মূলে সৈকতকে গ্রেফতার করা হয়। বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এনসিপির চাঁদপুর জেলা শাখার প্রধান সমন্বয়কারী মো. মাহবুব আলম বলেন, ‘ঘটনাটি জানার পর আমরা সমাধানের চেষ্টা করেছি। একজনে বিয়ের কথা বলেছে, পরে বিয়ে না করলে কী ধর্ষণের মামলা দিতে হবে? প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে ওই নেত্রী সৈকতকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন। পরে সৈকত জানতে পারেন আগে তার বিয়ে হয়েছিল। এজন্য বিয়েতে রাজি হননি। কিন্তু নেত্রীও তাকে ছাড়তে ছাড় না। শেষ পর্যন্ত সৈকত বিয়েতে রাজি না হওয়ায় ধর্ষণ মামলা দিয়েছেন নেত্রী। তবে ধর্ষণের যে অভিযোগ করেছেন, তা সঠিক নয়। ধর্ষণের ঘটনা হলে আমরা তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতাম।’

















